বাংলাদেশের প্রখ্যাত অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি না ফেরার দেশে চলে যান, ভক্তদের অশ্রুসিক্ত করে। তবে তিনি আজও বেঁচে আছেন তার দর্শক, ভক্ত এবং শুভানুধ্যায়ীদের হৃদয়ে। কখনো নায়ক, কখনো খলনায়ক হিসেবে তার অসাধারণ অভিনয়ে তিনি সবার মন জয় করেছিলেন। মঞ্চ, টিভি নাটক এবং চলচ্চিত্রে তিন দশকের বেশি সময় ধরে তার দাপুটে উপস্থিতি ছিল, যা তাকে বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ফরীদি চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন এবং তার অভিনয় দক্ষতার জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি মাটি চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৮ সালে, তার অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে। জন্মগ্রহণ করেন গাজীপুরে ১৯৫২ সালে এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে নাট্যাঙ্গনে প্রবেশ করেন।
ফরীদি ২০১২ সালে তার নিজ বাড়িতে দুর্ঘটনাবশত পড়ে গিয়ে মারা যান। মৃত্যুর আগে তিনি মডার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন, তবে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে এই দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুইবার বিয়ে করেছিলেন এবং তার একটি মেয়ে রয়েছে।